টাকা পয়সার রাজনীতি: বাংলাদেশের মুদ্রায় ক্ষমতার খেলা
মুদ্রা এবং রাজনীতির সম্পর্ক কোনো আধুনিক ঘটনা নয়। সভ্যতার শুরু থেকেই শাসকেরা মুদ্রাকে ক্ষমতার প্রতীক এবং রাজনৈতিক বার্তা প্রচারের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন। খ্রিস্টপূর্ব সপ্তম শতকে লিডিয়ার রাজা ক্রয়েসাসের আমল থেকে শুরু করে রোমান সাম্রাজ্য পর্যন্ত, প্রতিটি যুগের শাসকেরা মুদ্রাকে নিজেদের ক্ষমতা ও বৈধতা প্রতিষ্ঠার হাতিয়ার বানিয়েছেন।
প্রাচীন মুদ্রায় শাসকের পরিচয়
ইতিহাসবিদ হেরোডোটাসের মতে, লিডিয়ানরাই প্রথম সোনা ও রূপার মুদ্রা ব্যবহার করে এবং স্থায়ী দোকানপাট স্থাপন করে। এই প্রাচীন মুদ্রাগুলোতে তারিখ থাকত না, বরং থাকত শাসকের প্রতীক, দেবতার মূর্তি অথবা রাজ্যের চিহ্ন। আর এই প্রতীকগুলো দিয়েই প্রত্নতাত্ত্বিকরা নির্ণয় করতে পারেন কোন সময়কালে, কোন শাসকের আমলে সেই মুদ্রা তৈরি হয়েছিল। উদাহরণস্বরূপ, পারস্যের রাজা দারিয়ুসের নামে “দারিক” নামের সোনার মুদ্রা প্রচলিত ছিল। এতে দেখা যেত একজন “বীর-রাজা” যিনি একহাতে ধনুক এবং অন্য হাতে বর্শা বা ছুরি নিয়ে দৌড়ানো বা বসে থাকার ভঙ্গিতে রয়েছেন। এই ছবি ছিল পারস্যের সামরিক শক্তি এবং রাজকীয় ক্ষমতার প্রতীক।
রোমান রিপাবলিকে একটি অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটে যখন জুলিয়াস সিজার প্রথমবারের মতো নিজের প্রতিকৃতি মুদ্রায় ব্যবহার করেন। এর আগে রোমান মুদ্রায় কোনো জীবিত শাসকের ছবি থাকত না। সিজারের এই সিদ্ধান্ত একটি রাজনৈতিক বিপ্লব ছিল যা পরবর্তীতে সকল রোমান সম্রাটরা অনুসরণ করেছেন। এর মাধ্যমে সিজার বুঝাতে চেয়েছিলেন যে তিনি আর একজন সাধারণ রাজনীতিবিদ নেই, বরং তিনি একজন দেবতুল্য ব্যক্তিত্ব। রোমান সাম্রাজ্যের পরবর্তী সম্রাটরা এই প্রথা অব্যাহত রেখেছিলেন এবং মুদ্রাকে তাদের “শাসক-দেবতা” পরিচয় প্রচারের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেছেন।
ভারতীয় উপমহাদেশে ইন্দো-গ্রিক শাসকেরাই প্রথম মুদ্রায় শাসকের নাম এবং ছবি ব্যবহার করেন। খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতকে তারা উপমহাদেশের উত্তর-পশ্চিম অংশে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে এবং তাদের মুদ্রায় গ্রিক ও স্থানীয় ভাষায় লেখা থাকত। কুষাণ রাজারা প্রথম স্বর্ণমুদ্রা প্রচলন করেন যেগুলো ছিল রোমান সম্রাট এবং পার্থিয়ান শাসকদের মুদ্রার অনুরূপ। গুপ্ত আমলে “দিনার” নামে স্বর্ণমুদ্রা প্রচলিত ছিল। এই সকল মুদ্রায় একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য ছিল – প্রতিটি মুদ্রা যেন একটি রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন, যা সাধারণ মানুষের কাছে শাসকের ক্ষমতা, ধর্মীয় বিশ্বাস এবং রাজনৈতিক বার্তা পৌঁছে দিত।
আধুনিক যুগে মুদ্রার রাজনৈতিক ভাষা
প্রাচীনকাল থেকে আধুনিক যুগ পর্যন্ত মুদ্রার এই রাজনৈতিক চরিত্র অপরিবর্তিত রয়ে গেছে। বর্তমান বিশ্বেও প্রতিটি দেশের মুদ্রা সেই দেশের রাজনৈতিক দর্শন, সাংস্কৃতিক পরিচয় এবং ক্ষমতাসীনদের মানসিকতার একটি নীরব প্রতিফলন। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এই বিষয়টি আরও জটিল এবং বিতর্কিত। স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত আমাদের মুদ্রার ডিজাইন, প্রতীক এবং বার্তা নিয়ে একটি নীরব কিন্তু গভীর রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব চলমান রয়েছে।
আওয়ামী লীগের মুদ্রা দর্শন: ব্যক্তিত্বের রাজনীতি
১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসেই হাসিনা সরকার আগের সব টাকা পরিবর্তন করে সেখানে শেখ মুজিবের চেহারা লাগিয়ে দেয়। এই ঘটনাটি কোনো বিচ্ছিন্ন সিদ্ধান্ত ছিল না, বরং এটি ছিল আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক দর্শনের একটি প্রতিফলন। ২০১১ সালের পর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন সিরিজের নোট প্রকাশ করতে শুরু করে যেখানে সব নোটে শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি এবং ওয়াটারমার্ক রয়েছে।
আওয়ামী লীগের এই পদ্ধতির মূল বৈশিষ্ট্য হলো “ব্যক্তিত্বের রাজনীতি” বা “কাল্ট অব পার্সোনালিটি”। শেখ হাসিনার শাসনামলে (২০০৯-২০২৪) আওয়ামী লীগ বাংলাদেশ শাসন করেছে তার উত্তরাধিকারকে কেন্দ্র করে একটি ব্যক্তিত্বের রাজনীতির ভিত্তিতে। শুধু মুদ্রায় নয়, তার জন্মদিন, জাতীয় শিশু দিবস এবং হত্যাকাণ্ডের দিনগুলো সরকারি ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। বাংলাদেশের অনেক রাস্তা, প্রতিষ্ঠান, সামরিক ঘাঁটি, সেতু এবং অন্যান্য স্থানের নাম তার নামে রাখা বা পুনর্নামকরণ করা হয়েছে।
এই দৃষ্টিভঙ্গির পেছনে কাজ করে পারিবারিক রাজনীতির মানসিকতা। আওয়ামী লীগের কাছে রাষ্ট্র এবং তার প্রতীকগুলো একটি বিশেষ পরিবারের উত্তরাধিকার। ফলে মুদ্রা থেকে শুরু করে সর্বত্র সেই পরিবারের মুখ এবং নাম প্রতিষ্ঠিত করা তাদের কাছে স্বাভাবিক মনে হয়।
বিএনপির ভিন্ন পথ: জনকল্যাণের বার্তা
এখানেই আসে বিএনপির পার্থক্য। ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে বিএনপি যে কাজটি করেছিল তা অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য। সরকার পরিবর্তনের পর ২০০২-২০০৩ সালে নতুন সিরিজের নোট প্রকাশ করা হয়। এই সিরিজে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি অনুপস্থিত ছিল। কিন্তু এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো বিএনপি সেখানে জিয়াউর রহমানের ছবিও স্থাপন করেনি।
পরিবার পরিকল্পনা ও শিক্ষার বার্তা
বিএনপি তখন মুদ্রার মাধ্যমে জাতির কাছে যে বার্তা পৌঁছানোর চেষ্টা করেছিল তা ছিল উন্নয়নমূলক এবং সামাজিক কল্যাণমুখী। ১৯৯২ সালের ১ টাকার কয়েনে দেখা যায় “পরিকল্পিত পরিবার – সবার জন্য খাদ্য” এই বার্তা। এটি ছিল ব্যক্তি বা দলীয় প্রচারণার বদলে জাতীয় উন্নয়নের প্রচারণা।
২০০২ থেকে ২০০৪ সালের কয়েনগুলোতে এই প্রবণতা আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এক টাকার কয়েনে একটি পরিবারের চিত্র ছিল যেখানে বাবা, মা এবং দুই সন্তানকে দেখা যেত, আর সাথে লেখা থাকত “পরিকল্পিত পরিবার – সবার জন্য খাদ্য”। দুই টাকার কয়েনে দুটি শিশু (ছেলে এবং মেয়ে) বই পড়ার দৃশ্য ছিল এবং সেখানে লেখা ছিল “সবার জন্য শিক্ষা”।
বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশ হিসেবে ১৯৮৫ সাল থেকে জন্মহারে নাটকীয় হ্রাস পেয়েছে, মোট প্রজনন হার ৫.৫ থেকে ২.১-এ নেমে এসেছে। এই অর্জনের পেছনে পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচির ভূমিকা অগ্রাধিকার।
বিএনপি সরকার তখন বুঝতে পেরেছিল যে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ এবং পরিকল্পিত পরিবার গঠন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য। আন্তর্জাতিক গবেষকরা পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচির কার্যকারিতা প্রদর্শনের জন্য বাংলাদেশকে একটি প্রধান দেশ হিসেবে গণ্য করেন।
এই লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য তারা মুদ্রাকে একটি শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেছিল। প্রতিটি টাকার কয়েন ছিল একটি নীরব প্রচারক, যা মানুষের কাছে পরিকল্পিত পরিবারের বার্তা পৌঁছে দিত।
আবার “সবার জন্য শিক্ষা” – এই স্লোগানটি দুই টাকার কয়েনে দেখানো হয়েছিল। এর মাধ্যমে বিএনপি সরকার শিক্ষাকে একটি মৌলিক অধিকার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল। ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের বই পড়ার দৃশ্য দেখিয়ে তারা লিঙ্গ সমতার বার্তাও দিয়েছিল।
এই পদ্ধতির তাৎপর্য কী? বিএনপি সরকার মুদ্রাকে একটি জনসচেতনতার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেছিল। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যে টাকা-পয়সা হাতে নেয়, সেই মাধ্যমে তারা পরিবার পরিকল্পনা এবং শিক্ষার গুরুত্বের বার্তা ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিল।
সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতিফলন
বিএনপি আমলের টাকার নোটগুলোতে বাংলাদেশের বিভিন্ন ঐতিহাসিক নিদর্শন এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সুন্দর প্রতিফলন দেখা যেত। ৫০ টাকার নোটে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের বিখ্যাত চিত্রকর্ম “লাঙল” এবং ২০ টাকার নোটে বাগেরহাটের ষাট গম্বুজ মসজিদের ছবি ছিল।
এর মধ্য দিয়ে বিএনপি দেখিয়েছিল যে রাষ্ট্রীয় প্রতীকগুলো কোনো একটি ব্যক্তি বা পরিবারের সম্পত্তি নয়, বরং পুরো জাতির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হওয়া উচিত।
টাকার রাজনীতির গভীর তাৎপর্য
বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের মুদ্রা নীতির মধ্যে পার্থক্য আসলে দুটি ভিন্ন রাজনৈতিক দর্শনের পার্থক্য। একদিকে আছে “উন্নয়নমূলক বার্তা প্রচার” এবং অন্যদিকে আছে “ব্যক্তিত্বের রাজনীতি”।
আওয়ামী লীগের দর্শন অনুযায়ী, রাষ্ট্রের সকল প্রতীক একটি বিশেষ ব্যক্তিত্ব এবং তার পরিবারের সাথে যুক্ত থাকা উচিত। এই মানসিকতার কারণেই ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসেই তারা সকল মুদ্রায় শেখ মুজিবের ছবি যোগ করে।
বিএনপির দর্শন ভিন্ন। তারা মনে করে যে রাষ্ট্রীয় প্রতীকগুলো জনকল্যাণ এবং জাতীয় উন্নয়নের বার্তা বহন করা উচিত। এই কারণেই ক্ষমতায় এসে তারা মুদ্রায় নিজেদের নেতার ছবি না দিয়ে পরিবার পরিকল্পনা এবং শিক্ষার মতো উন্নয়নমূলক বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিয়েছিল।
বিশ্বের অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের দিকে তাকালে দেখা যায় যে অধিকাংশ দেশেই মুদ্রায় রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা বা জাতীয় নেতাদের ছবি থাকে। কিন্তু সেখানে একটি বিশেষ পার্থক্য রয়েছে। পশ্চিমা গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে এই ছবিগুলো ঐতিহাসিক সম্মানের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়, রাজনৈতিক প্রচারণার মাধ্যম হিসেবে নয়।
আমাদের দেশে সমস্যা হলো যে মুদ্রায় শেখ মুজিবের ছবি রাখাটা ঐতিহাসিক সম্মানের চেয়ে বেশি রাজনৈতিক প্রচারণার কাজ করে। এটি আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক বৈধতা প্রতিষ্ঠার একটি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
বর্তমান প্রেক্ষাপট এবং ভবিষ্যৎ দিক-নির্দেশনা
ইতিহাস পুনর্লিখনের প্রচেষ্টা
বর্তমানে বাংলাদেশে ইতিহাস পুনর্লিখনের একটি প্রক্রিয়া চলছে। নতুন পাঠ্যবইয়ে জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে, যা শেখ মুজিবের দীর্ঘকালের ভূমিকাকে চ্যালেঞ্জ করছে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২৫ সালের মধ্যে টাকার নোটের নতুন ডিজাইনের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে।
এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে যে নতুন মুদ্রা ডিজাইনে কী ধরনের দর্শন প্রতিফলিত হবে। আমরা কি আবারও ব্যক্তিত্বের রাজনীতি দেখব, নাকি জনকল্যাণমূলক বার্তার দিকে ফিরে যাব? ইতোমধ্যে টাকায় আবু সাইদ এবং মুগ্ধের ছবি থাকার বিষয়টি নিয়ে সমালোচনাও হয়েছে। আবার ২০০ টাকার একটি নোটে জুলাই এর গ্রাফিটির ডিজাইন নিয়েও সমালোচনার ঝড় বইছে নেটিজেনদের মধ্যে।
মুদ্রা সংস্কারের দিক-নির্দেশনা
এক্ষেত্রে বিএনপির আমলের মুদ্রা নীতি থেকে আমরা কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা নিতে পারি:
প্রথমত, মুদ্রা শুধু লেনদেনের মাধ্যম নয়, এটি একটি শক্তিশালী সামাজিক শিক্ষার হাতিয়ার। পরিবার পরিকল্পনা এবং শিক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরিতে মুদ্রা কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে।
দ্বিতীয়ত, রাষ্ট্রীয় প্রতীকগুলো কোনো একটি দল বা ব্যক্তির সম্পত্তি নয়। এগুলো সমগ্র জাতির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হওয়া উচিত।
তৃতীয়ত, মুদ্রার মাধ্যমে রাজনৈতিক প্রচারণার চেয়ে উন্নয়নমূলক বার্তা প্রচার অধিক কল্যাণকর। এটি জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে।
উপসংহার: টাকার স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনা
বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের মুদ্রা নীতির তুলনামূলক বিশ্লেষণ থেকে স্পষ্ট হয় যে রাজনৈতিক দর্শনের পার্থক্য কীভাবে রাষ্ট্রীয় নীতিমালায় প্রতিফলিত হয়। একটি দল ক্ষমতার প্রতীক হিসেবে ব্যক্তিত্বের রাজনীতি করে, অন্যটি জনকল্যাণের বার্তা প্রচারে গুরুত্ব দেয়।
আজকের বাংলাদেশে আমাদের প্রয়োজন এমন একটি মুদ্রা নীতি যা কোনো ব্যক্তি বা দলের স্বার্থে নয়, বরং সমগ্র জাতির কল্যাণে কাজ করবে। বিএনপির আমলের মুদ্রা নীতি এক্ষেত্রে একটি ভাল উদাহরণ স্থাপন করেছিল।
টাকাকে আবার তার আগের রূপে ফিরিয়ে আনার সময় এসেছে – যেখানে থাকবে জনকল্যাণের বার্তা, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতিফলন এবং জাতির আকাঙ্ক্ষার প্রকাশ। ব্যক্তিত্বের রাজনীতির পরিবর্তে আমাদের চাই উন্নয়নের রাজনীতি, যা প্রতিটি টাকার কয়েনে এবং নোটে প্রতিফলিত হবে।
এই পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে আমরা শুধু মুদ্রার ডিজাইন পাল্টাবো না, পাল্টাবো রাজনীতির সংস্কৃতি। তৈরি করব এমন একটি রাষ্ট্র যেখানে ব্যক্তিপূজার পরিবর্তে থাকবে জনকল্যাণ, যেখানে রাজনৈতিক প্রচারণার পরিবর্তে থাকবে উন্নয়নের বার্তা।